অন্য পেশায় নিয়োজিত নন মর্মে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ অর্জন করেছিলেন তারা। কিন্তু সনদ অর্জনের পর সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বরিশালের ৪১ জন আইনজীবী।
আইনজীবীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগও উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। আইন পেশায় জড়িত না থাকলেও নিজেদের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন তারা।
এ ধরনের অভিযোগে বরিশালের ৪১ আইনজীবীর সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলসহ হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন সম্প্রতি এই আবেদন করেন।
সনদ গ্রহণ করে অন্য পেশায় জড়িত আইনজীবীরা হলেন- মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মোঃ আবদুর রহমান খান, মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন পাইক, মোঃ আব্দুল হাকিম, আলী আসগর ফকির, মুশফিকুর রহমান তালুকদার টুনু, এ বি এম আক্তারুজ্জামান খান, মোঃ আনোয়ারুল হক, মোঃ নাসির উদ্দিন, সুনীল বরন হাওলাদার, মোঃ হানিফ মল্লিক, সুজিত কুমার দেবনাথ, সুরুচি রানী কর্মকর্তা, এ কে এম জালাল আহম্মেদ, শৈলেন্দ নাথ রায়, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ খলিলুর রহমান, শুভাশিষ মন্ডল, মোঃ আবদুল বারেক, মোঃ শাজাহান মিয়া, এস এম ইলিয়াস উদ্দিন মল্লিক, দুলাল ব্যানার্জী, আরমান ফরিদ, সুব্রত চক্রবর্তী, ফাতেমা জোহরা বীনা, মোঃ সালাউদ্দিন হাওলাদার লিটন, মোঃ শফিকুল আলম রিয়াজ, মোঃ শহীদুল হক রিয়াজ, মোঃ ফারুক বিন ওয়াহিদ, মোঃ সেলিম হোসেন, মোঃ নজরুল ইসলাম খসরু, আকতার ফারুক জাহিদ, মোঃ আবুয়াল সাইদ মামুন, রবিন্দ্র চন্দ্র দাস, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম, লুনা মুন্সী, মোঃ খলিলুর রহমান-১, দীপ শঙ্কর গুপ্ত, মোঃ মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং মোঃ আবু বকর সিদ্দিক।
এদিকে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম জানান, বার কাউন্সিলের সনদ নিয়ে কেউ অন্য পেশায় নিযুক্ত হতে পারবে না। ৪১ জন আইনজীবীর সনদ বাতিল চেয়ে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর পাঠানো আবেদনের অনুলিপি জেলা আইনজীবী সমিতিও পেয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতি আবেদনে উল্লেখিত ৪১ জনের তালিকা যাচাই-বাছাই করে তাদের নোটিশ করবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলা আইনজীবী সমিতি তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অপরদিকে বার কাউন্সিলও বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।