বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজুর বিরুদ্ধে সমিতির প্রায় ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় বারের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের কথা জানানো হয়। একই সময়ে সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিমের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়।
সভায় আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে আত্মসাতকৃত টাকা সমিতির তহবিলে জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সমিতির সদস্যরা।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কাইয়ুম খান কায়সার এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
সাধারণ সভায় বলা হয়, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হলে সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজুর কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬৩ হাজার টাকা পাওনা ছিল। এর মধ্যে সাজু ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬৩ টাকা ফেরত না দেওয়ায় সমিতির আর্থিক কাঠামো ঠিক রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে।
সভায় আরও জানানো হয়, টাকা ফেরত দিতে সাজুকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই ২০২১ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে সৈয়দ ওবায়দ উল্লাহ সাজুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র আইনজীবী মানবেন্দ্র বটব্যাল, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, আব্দুল মান্নান আখন্দ এবং এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
তবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমার কাছে টাকা জমা থাকতেই পারে। তেমনিভাবে কিছু টাকা আমার কাছে ছিল। ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। সমিতি আগে হিসাব করুক, তারপর যদি আমার কাছে আরও টাকা পায় তবে ফেরত দিব।’