উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

দল বেঁধে ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হাইকোর্টে খালাস

নেত্রকোনার এক কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন। খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- শামীম, ভিকন, টিকন, তাপস ও রূপ মিয়া।

ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক রানা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বজলুল কবির ও সাইফুর রহমান রাহি। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক রানা বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকা, গুরুত্বপূর্ণ একজন সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা এবং ভুক্তভোগীর ২২ ধারার জবানবন্দি, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও এজাহারে অমিল থাকার দিক বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট ওই পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে নোট দেওয়া হবে।

দুই ভাই ভিকন ও টিকনের আইনজীবী সাইফুর রহমান বলেন, ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্ট ওই পাঁচজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন। পাঁচজন এখন কনডেমড সেলে আছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীর তথ্যমতে, নেত্রকোনা ওই কিশোরী ২০০২ সালের ২০ জুলাই মায়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে আসামিরা ছুরি ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে রিকশার গতিরোধ করে ওই কিশোরীকে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।

ঘটনার পরদিন ওই কিশোরী নিজে মামলা করে। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। এই মামলায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত।

এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক জেল আপিল ও আপিল করেন। এসবের ওপর শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।