চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানী আদালতের অবকাশকালীন সময়ে সারাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে জরুরী বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য ৬৯ জন ‘ভ্যাকেশন জজ’ নিয়োগ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে জুডিসিয়াল সার্ভিসের এসব কর্মকর্তাকে অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকেরা এ সময় সংশ্লিষ্ট জেলায় (জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বিশেষ জজ আদালত, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, পরিবেশ আপিল আদালত, সাইবার ট্রাইব্যুনাল, সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালসহ) জরুরি দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলাসমূহ গ্রহণ এবং তা থেকে উদ্ভূত জরুরি বিষয়সমূহ শুনানি ও নিষ্পত্তি করবেন।
ভ্যাকেশন জজ -এর পূর্ণাঙ্গ তালিকাসহ বিস্তারিত জানতে প্রজ্ঞাপন দেখুন
অবকাশকালীন সময়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৫ ধারার অধীনে পুনর্বিবেচনার দরখাস্ত ব্যতীত সকল ফৌজদারি দরখাস্ত ও মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৩ (২) ধারার অধীন ক্ষমতা প্রদানসহ নিয়োগপ্রাপ্ত জেলাসমূহের সদর দপ্তরে আসন গ্রহণের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৯ (৪) ধারার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও সকল ভ্যাজেশন জজকে অবকাশকালীন দেওয়ানী আদালত আইন ১৮৮৭ এর ১৪ ও ৩৬ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধিক্ষেত্রের জেলা সদরে আসন গ্রহণ করে জরুরি দেওয়ানী মামলা গ্রহণ ও তা হতে উদ্ভূত জরুরি বিষয়ে শুনানি ও নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা এবং শিশু আইন, ২০১৩ এর আওতায় গঠিত শিশু আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।