অর্থপাচারকারীদের তালিকা চাওয়ার পর এবার দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্পেশাল ব্রাঞ্চেরর পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) এ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে কানাডাসহ দেশের বাইরে অর্থপাচারকারীদের নাম ও ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে গত ২২ নভেম্বর আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই রুলের ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটি (কজলিস্ট) কার্যতালিকায় আসে। এরপর শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী আদালতের কাছে দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়ে আদেশ প্রার্থনা করেন।
এ সময় আদালত বলেন, দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারী কারা, সেটা আমরাও জানতে চাই। পরে আদালত তাদের তালিকা চেয়ে আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে বক্তব্য দেন। তারপর এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অর্থপাচারকারীদের তালিকা চেয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে অর্থপাচারকারীদের তালিকা দিলেও তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেননি হাইকোর্ট। তাই আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মামলায় অর্থপাচারকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে সময় নির্ধারণ করে দেন আদালত।