কক্সবাজারের টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় ভূমি অধিগ্রহণ ব্যতীত এবং বিনা নোটিশে উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক ছয়টি আবেদন শুনানি শেষে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দীন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি), টেকনাফ পৌরসভার মেয়র, টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড)-কে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিনা নোটিশে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সড়ক ও জনপথ এবং টেকনাফ পৌরসভা সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তারসঙ্গে ছিলেন এস এম জুলফিকার আলী জুনু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
জানা গেছে, টেকনাফ পৌরসভায় সড়ক বর্ধিত করার জন্য সড়ক ও জনপথ এবং টেকনাফ পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় বিনা নোটিশে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যতীত উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য প্রশাসন থেকে লাল দাগ দেয়া হয়।
এরপরে উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য মাইকিং করা হলে তারা ৮ ডিসেম্বরের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সময় দিয়ে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে উচ্ছেদের জন্য আবেদন জানান। তাতে সাড়া না দেয়ায় হাইকোর্টে আসেন জমির মালিকরা।
বিনা নোটিশে এবং ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে ওইসব স্থাপনার ৬ জন মালিক যথাক্রমে হাজী হামিদ হোসেন, হাজী আব্দুল হাফেজ, মো.সিদ্দিক, বশির আহমেদ, হাজী আব্দুল কাদের ও মো. আলম বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিন্ন ভিন্ন ৬টি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ভূমি অধিগ্রহণ না করা ও নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করায় রুল জারি করেছেন এবং নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন।