ফেনী জেলা জজ আদালত
ফেনী জেলা জজ আদালত

ফেনীতে ৩ মাসে যৌতুক মামলার রায়, আসামির ২ বছরের সাজা

ফেনীতে যৌতুক মামলা দায়েরের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে আসামিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ফেনীর দ্বিতীয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. মোজাম্মেল হোসেন মানিক। তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা থানাধীন লতিফপুর গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে।

আদালতে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোটাইপিষ্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল করিম মজুমদার রায়ের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল না। আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ফেনীর দাগনভূঁঞার উত্তর কোরবানপুর গ্রামের শাহ জালালের মেয়ে বিউটি আক্তারকে আসামী মো. মোজাম্মেল হোসেন মানিক গত ২৭/০৪/২০খ্রি. তারিখে বিবাহ করেন।

পরবর্তীতে গত ২৮/০৮/২০খ্রি. তারিখে আসামীর বাড়ীতে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে বাদীকে আসামীর বাড়ীতে জোরপূর্বক আটক করে রাখে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদীকে উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে বিউটি আক্তারের পিতা শাহ জালাল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে গত ২৩/০৯/২০খ্রি. তারিখে বাদীকে উদ্ধার করা হয়।

মামলায় বাদীপক্ষে ৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে ও কাগজপত্র দাখিল করার প্রেক্ষিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালত সূত্রে আরো জানা যায়, মামলাটি গত ২৭/০৯/২০খ্রি. তারিখে দায়ের করার পর আসামী ০২/১০/২০খ্রি. তারিখে গ্রেফতার হয়ে আপোষ করার শর্তে জামিন নিয়ে তিনি পলাতক থাকেন।

এরপর আসামি পলাতক থাকা অবস্থাতেই মামলা দায়েরের ৩ মাসের মধ্যে এই রায় ঘোষণা করা হলো। দ্রুততম সময়ে রায় হওয়ায় মামলার বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন তারা।