সিলেটে গণমাধ্যমের (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া) সাথে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে মত বিনময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিলেট মহানগরীকে সুন্দর ও অপরাধ মুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।
আজ রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২.৩০ টায় সিলেট মহানগরীর উপশহরস্থ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে “সিলেট প্রেসক্লাবের” সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বি.এম. আশরাফ উল্যাহ তাহেরের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মোঃ রেনু, সকল উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, সিলেট প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যসহ এসএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভার শুরুতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিচয় উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে সিলেট মহানগরীকে মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উপস্থিত প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এ সময় তারা নগরীর ফুটপাতের হকার, যানজট নিরসন, অবৈধ পার্কিং, অবৈধ সিএনজি, কিশোর গ্যাং, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, তৃতীয় লিঙ্গের হয়রানি, প্রবাসীদের জায়গা ও বসতবাড়ির নিরাপত্তা এবং প্রেস এর লোগো ব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম সম্পাদন সংক্রান্ত বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন এবং এ সংক্রান্তে পুলিশ ও সংবাদকর্মীগণ একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত সকলের মতামত গ্রহণ শেষে পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, সিলেট অত্যান্ত সুন্দর একটি নগরী। এ নগরী ঢাকা ও চট্রগ্রাম নগরীর চেয়ে কোন অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ নগরীকে সুশৃঙ্খল ও অপরাধমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
হকার উচ্ছেদ সম্পর্কে পুলিশ কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যে সিলেট সিটি মেয়রের সহযোগিতায় হকারদের লালদিঘীরপাড়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে নগরী হকারমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যানজট ও অবৈধ পার্কিং নিরসনে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে এর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য সংবাদকর্মীদের এ বিষয়ে লেখালেখি করার আহবান জানান তিনি।
মোঃ নিশারুল আরিফ বলেন, কিশোর গ্যাং, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধে অপরাধীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিরোধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তৃতীয় লিঙ্গের কেউ যদি বাসাবাড়িতে গিয়ে হয়রানি করে তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
নগরীর লোকজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করার জন্য প্রতিটি থানায় কিউ.আর,টি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রবাসীদের জায়গাজমি ও বসতবাড়ি দখল সংক্রান্তে কোন অভিযোগ আসলে পুলিশ খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনগত অ্যাকশন নেবেন বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
পরিশেষে তিনি সিলেট মহানগরীকে সুন্দর ও অপরাধ মুক্ত নগরী হিসেবে গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং সকলের সুস্বাস্থ্য, উত্তরোত্তর কল্যাণ কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।