অবকাশে হাইকোর্টে দুই ধাপে ১৪ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
সুপ্রিম কোর্ট

নির্ধারিত সময়ে নারী নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণ জানানোর নির্দেশ

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলা নির্ধারিত সময়ের (১৮০ দিন) মধ্যে বিচার শেষ না হলে, কেন হয়নি তা জানিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার বিধানটি আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন হয়নি।

এজন্য আইনটির সংশ্লিষ্ট বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে (পুলিশ) নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর (৩১ ক) বিধান অনুযায়ী কোনো মামলা বিচারের জন্য পাওয়ার তারিখ হতে ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না (বিচারকার্য) হওয়ার কারণ লিখে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে দাখিল করা এবং তার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট পাঠানোর বিধান রয়েছে।

এছাড়া উল্লেখিত ক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট (তদন্ত) পুলিশ কর্মকর্তা কারণ লিখে ৩০ দিনের মধ্যে একটি অনুলিপি সরকারের নিকট পাঠানোর বিধান রয়েছে যা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর বিধান সন্নিবেশিত।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, অত্র কোর্টের গোচরিভূত হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ আইনের ৩১ (ক) ধারা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃক সার্কুলার জারি করা হলেও সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির কারণ লিখে প্রতিবেদন নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে না।

এ ছাড়া উক্ত বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা তার রকারণ লিখে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন সরকারের কাছে দিচ্ছে না এবং এর অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টেও পাঠাচ্ছে না।

এ অবস্থায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ আইনের ৩১ (ক) ধারায় আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পূনরায় নির্দেশ প্রদান করা হলো।