ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। এতে ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকবিরোধী আইনে লালবাগ থানায় ওই মামলা করেছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ভিন্ন হওয়ায় এবং অভিযোগের পক্ষে ‘তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায়’ গতকাল রোববার (৩ জানুয়ারি) আদালতে ওই রিপোর্ট দেওয়া হয়।
মামলার দুই মাসের মাথায় দেয়া পুলিশের এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ফাইনাল রিপোর্ট অ্যাজ মিসটেক অব ফ্যাক্ট (এফআরএমএফ)’।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের মামলার তদন্ত করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি, তা রিপোর্টে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছি। প্রতিবেদনটি এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।’
ইরফানের মামলার এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় ইরফানসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা।
এরপর ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। ইরফানকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত চার আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উল্লেখ্য, ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর। তার শ্বশুর নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।