মোঃ আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েল। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রার্থী। জন্ম জেলা সিরাজগঞ্জ ১৯৬৫ সালে। ১৯৯০ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মরহুম সরদার মোহাম্মদ সুরুজ্জামান ও সৈয়দ রেজাউর রহমানের সান্নিধ্যে থেকে আইন পেশায় দীক্ষা নেন। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে সাবেক এটর্নি জেনারেল মরহুম মাহবুবে আলম এর জুনিয়র হিসেবে পেশায় সুখ্যাতি অর্জন করেন। সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলে সদস্যদের কল্যাণে তাঁর স্বপ্ন তথা কিছু উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনার কথা জানতে মুখোমুখি হয়েছিল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কম। কথোপকথনের চুম্বক অংশটি তুলে ধরা হয়-
স্বপ্নময় ছাত্র-জীবন শেষ করে নবীন আইনজীবীদের আইন পেশায় অভিষেক অত্যন্ত কষ্টকর ও অনেকটাই অনিশ্চিত জীবন। এমন পরিস্থিতিতে নবীন আইনজীবীদের জন্য সম্পাদক হিসেবে কি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন; উত্তরে তিনি জানান, নবীন আইনজীবীদের জন্য আমার অঙ্গীকার থাকবে- নবীনদের সিনিয়র চেম্বার সংকট লাঘবের উদ্দেশ্যে সমিতিতে পৃথক সেল স্থাপন করা হবে এবং বসার স্থান সংকুলানের জন্য সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও সহযোগিতায় বর্তমান সমিতি ভবন সংলগ্ন ভূমিতে বহুতল বিশিষ্ট নতুন সমিতি ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও নবীন আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পেশাগত কর্মশালা, সেমিনার, ডিবেট ইত্যাদি নিয়মিত আয়োজন করা হবে এবং মামলা দায়ের ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নবীন আইনজীবীদের চলমান সমস্যা সমূহ নিরসন করা হবে।
সদস্যদের কল্যাণে তাঁর বিশেষ পরিকল্পনার কথা শুনতে চাইলে সম্পাদক প্রার্থী মোঃ আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েল জানান, সদস্যগণ ও সদস্যগণের পরিবারের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন ও দক্ষ জনবলের মাধ্যমে তা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং সদস্যদের জীবদ্দশায় যে কোনো জরুরী প্রয়োজনে কল্যাণ তহবিলের সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়াও তিনি আরেকটি নতুন উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, সম্পাদক নির্বাচিত হলে তিনি একটি আধুনিক ও ডিজিটাল লাইব্রেরী স্থাপনের উদ্যোগ নিবেন, যাতে সকল সদস্য তাদের চেম্বার/বাসা থেকেই অনলাইনে লাইব্রেরীর সুবিধা পেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নারী সদস্যদের সংখ্যাও খুব কম নয়। এই বৃহৎ অংশ ভোটারদের জন্য আলাদাভাবে কি পরিকল্পনা, এমন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, নারী সদস্যদের কল্যাণে একটি সুপরিসর কমনরুম, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, একটি পূর্ণাঙ্গ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডে-কেয়ার ও ব্রেক্ট ফিডিং সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।