কয়েকবার চিঠি দেয়ার পরও এক লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না দেয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১ এপ্রিল তাকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও (আইও) ওইদিন সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের আসামি হাবিবুর রহমানের জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আরাফাত কাউসার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর আলামীনকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। এছাড়া আলামীনের ময়নাতদন্ত করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ-সিআইডি। এরইমধ্যে মামলার আসামি হাবিবুর রহমান হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে গত দেড় বছরেও মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা এর আগে এক দিন এবং গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে হাজির হন। তিনি আদালতকে জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন চেয়ে ডিএমসিএইচের ফরেনসিক বিভাগে তিনবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই প্রতিবেদনের জন্য তিনি গত ২৪ জানুয়ারি গাজীপুরের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন। এরপরও ওই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।