প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অধস্তন আদালতের বিচারকদের মাসিক কর্মসম্পাদন বিবরণী অনলাইনে পূরণের নির্দেশ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট লোগো

শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি আদালতে মামলা করা যাবে

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা পরিস্থিতির মাঝে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি আদালত এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন আদালতগুলোতে মামলা দায়ের করা যাবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

২৮ এপ্রিল (বুধবার) প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উল্লিখিত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলো ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারি করা এতদ্বসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক অতীব জরুরি দরখাস্তগুলো শুনানি ও নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি আদালতগুলো এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন আদালতগুলোতে মামলা দায়ের করা যাবে।’

‘দায়েরকৃত মামলায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট শারীরিক উপস্থিতিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারার অধীন জবানবন্দি গ্রহণ করবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল— করোনা মহামারির ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।