‘তথ্য সন্ত্রাস বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরও জোরালো প্রয়োগ প্রয়োজন’

রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য সন্ত্রাস মোকাবিলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনকে আরও জোরালোভাবে প্রয়োগ করা জরুরি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সভায় এ কথা বলেন ড. সেলিম মাহমুদ।
২৮ এপ্রিল (বুধবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার রাতে এ ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, একটি গোষ্ঠী জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিগত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে যে যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, সেটিকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এই গোষ্ঠীটির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা এখন বাংলাদেশ বিরোধী তথ্য সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এই তথ্য সন্ত্রাস মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে কিছু রাষ্ট্রবিরোধী লোক বিদেশে বসে ডিজিটাল মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচার ও তথ্য সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দিচ্ছে লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে এই তথ্য সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত এই তথ্য সন্ত্রাসকে আইনের আওতায় আনার একমাত্র পথই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কার্যকরী প্রয়োগ।

সেলিম মাহমুদ আরো বলেন, সরকারবিরোধী কিছু লোক এবং সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তি তাদের নিজেদের স্বার্থে এই আইনের বিরোধিতা করছে। কিন্তু রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে প্রায় সব উন্নত দেশেই এই ধরনের আইন রয়েছে। ওই সব রাষ্ট্রকে অনুসরণ করেই এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে এই আইন করা হয়েছিল। এখন সময় এসেছে, তথ্য সন্ত্রাস প্রতিরোধে আইনটিকে অধিকতর জোরালোভাবে প্রয়োগ করার।

ভার্চ্যুয়াল এ সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রফেসর মাহফুজুর রহমান, ড. শাহজাহান মাহমুদ, সাজ্জাদুল হাসান, প্রফেসর হেলালুদ্দীন নিজামী, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ব্রিগেডিয়ার ডা. মো. শাহজাহান, নওশের রহমান, প্রফেসর ড. অসীম সরকার, ডা. জাহানারা আরজু, ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, আমেনা কোহিনুর, আতাউল মাহমুদ, সৈয়দ আবু তোহা, অ্যাডভোকেট আরেফা পারভীন তাপসী, শেখ আদনান ফাহাদ, রায়হান কবির, ফাহিম শাহরিয়ার, রকিবুদ্দিন আহমেদ ঢালী, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, রাজীব হোসেন প্রমুখ।