আদালত (প্রতীকী)
ভার্চুয়াল আদালত (প্রতীকী)

ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিনে কারামুক্ত ২৭৮৪৪ হাজতি

করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সারাদেশে অধস্তন আদালতে এক হাজার ৫৩৬ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৬ কার্যদিবসে ৫১ হাজার ৮৮২টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ২৭ হাজার ৮৪৪ জন হাজতি জামিনে কারামুক্ত হয়েছে। ৫ মে (বুধবার) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মে) সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে তিন হাজার ৮৮টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং হাজতে থাকা এক হাজার ৫৩৬ জন অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধস্তন আদালতে এক হাজার ৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে তিন হাজার ২৪০ জন, তৃতীয় দিনে দুই হাজার ৩৬০ জন, চতুর্থ দিনে এক হাজার ৮৪২ জন, পঞ্চম দিনে এক হাজার ৬৩৫ জন, ষষ্ঠ দিনে এক হাজার ৫৭৬ জন, সপ্তম দিনে এক হাজার ৩৪৯ জন, অষ্টম দিনে এক হাজার ৫৯২ জন, নবম দিনে এক হাজার ৮৩৯ জন, দশম দিনে এক হাজার ৫৯৩ জন, একাদশ দিনে এক হাজার ৩৯৫ জন, দ্বাদশ দিনে এক হাজার ৪২২ জন, ত্রয়োদশ দিনে এক হাজার ৪১২ জন, চতুর্দশ দিনে এক হাজার ৭২১ জন এবং পঞ্চদশ দিনে এক হাজার ৭১৪ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়।

সব মিলিয়ে সর্বমোট ১৬ কার্যদিবসে ৫১ হাজার ৮৮২টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ২৭ হাজার ৮৪৪ জন হাজতি কারামুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৩৬৭ জন।

সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়। এসব মামলায় ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশুসহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়।

‘তবে এ পর্যন্ত মোট দুই দফায় ৭৪ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ৯৯ হাজার ২২১টি ফৌজদারি মামলায় জামিনের আবেদন ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। এতে মোট এক লাখ ৭৩ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রাদুর্ভূত মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।