আশুতোষ নাথ। পেশায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক। নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি, মেধার জোরে বৃত্তি নিয়ে সহসা যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেবেন মেধাবী এই যুবক। পিএইডি করতে বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে আশুতোষ কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করবেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে টিচিং অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করবেন। আগামী ১২ আগস্ট স্ত্রী গান্ধী দেবীসহ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে তার রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আশুতোষ এতদিন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত ছিলেন। এদিকে মুদ্রাক্ষরিক পদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করতে যাওয়ার খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি মহলে প্রশংসায় ভাসছেন আশুতোষ।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পান্নাবিল গ্রামের মিলন নাথের ছেলে আশুতোষ নাথা। ২০০৮ সালে মানিকছড়ি রানি নীহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এইচএসসি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে রসায়নে বিএসসি (অনার্স) সম্পন্ন করেন। পরবতীতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ( বুয়েট) থেকে রসায়নে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ইতোমধ্যে আশুতোষ নাথের গবেষণা বিষয়ে তিনটি আর্টিকেল আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মোতাহার হোসেন সাজু তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেইসবুকে লিখেছেন- ‘আশুতোষকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। একজন কর্মপাগল ও অনুসন্ধিৎসু প্রকৃতির মানুষ আশুতোষ। তাকে নিয়োগের সময় নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবে আমিই তার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা দেখে এক বাক্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে নিয়োগ দিতে। আমি প্রত্যেকটি পরতে পরতে ওকে উৎসাহ দিতাম সহযোগিতা করতাম। তার ভিতরে প্রথম দিনই উৎসাহর আলো দেখতে পেয়েছিলাম। বুয়েট থেকে রসায়নে মাস্টার্স পরীক্ষার পর মলিকুলার এর এক ব্যতিক্রমধর্মী আবিস্কার এর জন্য তাঁর নেতৃত্বে নেপালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল যায়। তিনি প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে এক অনবদ্য Presentation দেন। নেপাল সরকার তাঁকে ভূয়সী প্রশংসা করে। কর্ম, দক্ষতা, সততা, নিয়মানুবর্তিতা ও ইচ্ছাশক্তি মানুষকে কত বড় এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে সহায়তা করে তাঁর উৎকৃষ্ট নজীর আশুতোষ। তাকে ভূলবনা কোনদিন। আশুতোষ ও তাঁর সহধর্মিণীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।’