ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরির্দশক মো. আব্দুল মাবুদ ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। আব্দুল মাবুদ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের পর তা স্ত্রীর নামে দান ও ঋণ দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রাথমিক তদন্তে দুদক এসব তথ্য পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুন মামলা করে দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়টি প্রকাশ করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে তিনি ৪ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। অবৈধ সম্পদকে বৈধ দেখানোর জন্য স্ত্রী নাসিমা খানমের সঙ্গে যোগসাজশ করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা ও ভুয়া নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও হলফনামার মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা দান ও ঋণ দেখিয়েছেন।
অবৈধভাবে অর্জিত ৪ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৬ টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৫ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা করে পরে তা গোপন রেখে উত্তোলন, মালিকানা হস্তান্তর করে অপরাধ করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক শাহিন আরা মমতাজ বাদী হয়ে ১৬ জুন সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেছেন।
দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আব্দুল মাবুদ ও তার স্ত্রীর নামে ৪৩টি এফডিআরে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৩ টাকা, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাবদ ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট নির্মাণ বাবদ ৪৪ লাখ টাকাসহ উল্লেখিত অর্থের কোনো বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।