হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ইতিহাস নয়, প্রতি মুহূর্তের জন্য বর্তমান

শাহ মনসুর আলী নোমান:

ক্ষণজন্মা পুরুষ হিসেবে ইতিহাসে যাদের স্থান তারা প্রত্যেকেই আলাদা নিজ নিজ কর্মগুণে।যুগে যুগে কিছু মানুষ আসেন,  তাঁরা ইতিহাস নয়,প্রতি মুহূর্তের জন্য বর্তমান। স্মরণীয়-বরণীয়, অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকেন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। যে সকল স্বনামধন্য ও বিশ্ববরেণ্য মানুষের জন্মের ফলে  গর্বিত হয়েছে তাদের স্বদেশের মাটি এবং  যাদের মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ, জাতি হয়েছে আলোকিত। তারা মৃত্যুর পরও স্বমহিমায় অমর হয়ে থাকেন। এমনই একজন  আলোকিত মানুষ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার  হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। আজ দশ জুলাই। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বিশতম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০১সালের এই দিনে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশকে এক অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

তিনি  ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ জেলার দরগাপাশা গ্রামে তাঁদের আদিনিবাস হলেও সিলেট শহরের আম্বরখানা এলাকার ঐতিহ্যবাহী ‘রশীদ মঞ্জিল’ এ তাঁর শৈশবকাল কেটেছে। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পিতা আব্দুর রশীদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের    লোকসভার সদস্য এবং সিলেট অঞ্চলের আদি সংবাদপত্র যুগভেরী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাতা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় (ভারত) থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর( সমমান) ডিগ্রী লাভ করেন।

পরবর্তীতে তিনি লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স’ ডিগ্রী লাভ করেন এবং ল’ ডিগ্রী ইন ইউকে ও  অনারেবল সোসাইটি অব দ্য ইনার ট্যাম্পল এর সদস্য হন। এছাড়াও তিনি আমেরিকার দ্য ফ্ল্যাচার স্কুল অব ল’ অ্যান্ড  ডিপ্লোমেসি, টাফটস ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট ডিগ্রি লাভ করেন।

জাতির ক্রান্তিলগ্নে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার কূটনীতিবিদ এবং বিনয় ও পরিমিতিবোধ সম্পন্ন একজন সজ্জন ব্যক্তিত্ব। রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষানুরাগী, গণমানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আজীবন দেশ ও জাতিকে দিয়েছেন আলোর নির্দেশনা।

আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১৮ সালে  মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানের প্রতি শ্রদ্ধা ও একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ,প্রবাসী মুজিবনগর সরকার ও ভারতীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নির্দেশনায় অর্থনৈতিক সহায়তার ভিত্তি স্থাপন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি নিজ জীবনের মায়া ত্যাগ করে দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে দায়িত্বরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন। বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা এবং আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর প্রচেষ্টায় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৩৪ টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য ও স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শাহাদত বরণ করেন। তখন তিনি বেলজিয়ামে অবস্থানরত জাতির জনকের দুই কন্যা (বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী)শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে অত্যন্ত সাহসিকতার সহিত আশ্রয় প্রদান করে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে আনার ব্যবস্থা করেন। পরে তিনি ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সাথে যোগাযোগ করে সেখানে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেন। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কে আশ্রয় দেয়ায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ওএসডি করে।

বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র বিকাশে এবং জাতীয় সংসদের আধুনিকায়নে তিনি যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও কর্ম সম্পাদন করে গেছেন সেজন্য তাকে ‘বাংলাদেশের জবাবদিহিমূলক জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার অগ্রপথিক ও প্রাণ পুরুষ বলা হয়।’ তিনি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহী আনয়নের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে মন্ত্রীর পরিবর্তে সংসদ সদস্যদের  সভাপতি করার প্রথা চালু করেন, তিনি ডেপুটি স্পিকারের পদকে আরো সম্মানিত করেন, সরকারি এবং বিরোধী দলের সদস্যদের সমভাবে সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতেন।জাতীয় সংসদে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন করেন। তিনি স্পিকারের দায়িত্বে থাকাকালে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব’ পদ্ধতি চালু করে জাতীয় সংসদকে আধুনিক গণতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন এবং সাংবিধানিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতার’ মর্যাদা দানে জাতীয় সংসদে রুলিং প্রদান করেন। তিনি জাতীয় সংসদে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনি চক্রের বিচারের পথ প্রশস্ত ও উন্মুক্ত করতে অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তরুণ ও নতুন সদস্যদের জন্য ওরিয়েন্টেশন,প্রশিক্ষণ ও বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করেন। জাতীয় সংসদে আধুনিক ডিজিটাল পাঠাগার স্থাপন করে সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তাদের বই পাঠ এর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেন। এমনকি তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবার শ্রদ্ধাভাজনতা অর্জন করেন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগে যোগদান করেন।১৯৭২ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, ভ্যাটিকান এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি ওআইসি’র বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১, আসন এবং সুনামগঞ্জ -৩,আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১, আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ইরান-ইরাক যুদ্ধে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং জাতিসংঘের সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার চালু করতে অসামান্য অবদান রাখেন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনবদ্য ভূমিকা পালনের জন্য তিনি পেয়েছেন অনেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে তিনি আমেরিকার কলেজ অব উইলিয়াম এন্ড ম্যারি (ভার্জিনিয়া) থেকে ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত হন এবং ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব তাঁকে ‘ইউএন পিস মেডেল’প্রদান করেন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আধুনিক সিলেট উন্নয়নের রূপকার হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।তিনি সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রধান অগ্রনায়ক এর ভূমিকা পালন করেন।

ফলে সিলেট তথা সারাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে। সিলেটে আধুনিক রেল স্টেশন নির্মাণ, সিলেট শহরের সৌন্দর্য বর্ধন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা পিছিয়ে পড়া সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন এবং সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গ্রহণ করেছিলেন এক মহাপরিকল্পনা,যা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কৌশল এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সিলেটকে বিভাগীয় শহরের উপযোগী করে গড়ে তুলতে তিনি সিলেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারী অফিস স্থাপন  শুরু করেছিলেন। সিলেট শহরের বাইপাস সড়ক, টুকের বাজার এলাকায় সুরমা নদীতে সেতুসহ বাইপাস সড়ক, বাদাঘাট সেতু নির্মাণ,সিলেট এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে রানওয়ে সম্প্রসারণ এগুলো তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সিলেট উন্নয়নের অন্যতম উদাহরণ।

তিনি বিশ্বের বহু ভাষায় পারদর্শী থাকলেও সিলেটের আঞ্চলিক ভাষাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন এবং সিলেটের শিক্ষা- সংস্কৃতি ও সার্বিক উন্নয়নে ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন অনেকেই এই মন্ত্রণালয় কে ‘সিলেট প্রাইভেট লিমিটেড,’ বলতেন  সিলেটের মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কারণে। তিনি স্পিকার হওয়ার পরেও সব সময় সিলেটের মানুষের জন্য তাঁর গভীর ভালোবাসার পরিচয় পাওয়া যায়।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সুযোগ্য সহধর্মিনী মাহজাবিন রশীদ চৌধুরী(১৯৩৪-২০১৮) স্বামীকে কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা করতেন।  ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শাহাদাত বরণ করার পর (বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী)শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে (তৎকালীন জার্মানিতে) মায়ের মত বুকে আগলে রাখেন। বাংলা টাইমস কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহজাবিন চৌধুরী বলেন, তাদের বাসায় ছয়দিন অবস্থানের পর বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা যখন চলে যাচ্ছিলেন, বিদায়ের প্রাক্কালে  হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী শেখ হাসিনার মাথায় হাত রেখে এই বলে সান্তনা দিয়েছেন, “যাও মা, তুমি একদিন বাংলাদেশের ইন্দিরা গান্ধী হবে।”

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম, গণকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড এবং সমাজসেবার জন্য সবার কাছে একজন আদর্শের পাত্র ছিলেন।

২০০১ সালের ১০ জুলাই এই বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব স্পিকারের দায়িত্ব পালনকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (ঢাকা)

ইন্তেকাল করেন। হরযত শাহজালাল (রাদিয়াল্লাহু) মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় চিন্তার মানুষ, আলোর ফেরিওয়ালা, সুচিন্তাবিদ,  মুক্তবুদ্ধির প্রবক্তা, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যবিরোধী, সুশাসনের একজন দিশারী। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আজকে আমাদের জন্য রোলমডেল। তিনি যে কর্মগুলো রেখে গেছেন সেটাকে লালন- পালন করতে পারলে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি সুখী, সুন্দর ও আলোকিত বাংলাদেশ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি  আধুনিক রাষ্ট্র এবং উদার সমাজ ব্যবস্থা গঠনের জন্য কাজ করে গেছেন আজীবন।

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ভাষায়,

‘Some are born great, some achieve greatness, and some have greatness thrust upon them.’  সুধী মহলের উপলব্ধি,Humayun Rasheed Choudhury achieved greatness by dint his virtue.

১০ জুলাই  হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ২০তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান আল্লাহ পাক  তাঁকে  জান্নাতের সর্বোচ্চ দরজা প্রদান করুন।

আমিন।

লেখক: শাহ মনসুর আলী নোমান; উপাচার্যের একান্ত সচিব, নর্থ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ