লকডাউনে ভাড়ার বাইকচালক হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ হয়ে আলোচনায় আসা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানাকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেছেন, ‘এগুলো করবেন না। ভালো হয়ে যান মিস্টার মাসুদ রানা।’
সোমবার (১৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এমন কথা বলেন।
আইনজীবী মাসুদ রানার দুটি মামলায় দুই আসামির জামিনের আবেদন ছিল এই কোর্টে। সকালে মামলা দুটি শুনানি করতে গেলে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক তাকে দেখে বলেন, ‘মিস্টার মাসুদ আপনি বিখ্যাত হয়ে গেছেন বাইক চালাইয়া। এগুলো করবেন না। আপনি ভালো হয়ে যান।’
পরে আদালত আইনজীবী মাসুদ রানার আবেদন করা দুই মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে আদেশ দেন।
সম্প্রতি কালো কোট গায়ে বাইক নিয়ে রাইড শেয়ারিংয়ের ছবি প্রকাশ করে ভাইরাল হন আইনজীবী মাসুদ রানা। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা। এমনকি আইনজীবীদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আইনজীবী মাসুদ রানার দুটি মামলা আমাদের কোর্টের তালিকায় ছিল। এ মামলার শুনানির সময় আইনজীবী মাসুদ রানাকে দেখে আদালত এসব কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, কোর্টের ড্রেস পরে তার বন্ধুকে হেলমেট দিয়ে উঠিয়ে কোর্টকে হিউমিলিয়েট করার জন্য প্রতীকী অর্থে তিনি এটা করেছেন। বাস্তবেই তিনি যদি অভাবে পড়ে বাইক চালাতেন তাহলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। জুডিশিয়ারিকে ব্যঙ্গ করতে এমনটি করেছেন। এজন্য কোর্ট তাকে তিরস্কার করেছেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা বলেন, ‘আদালত বলেছেন। ‘মিস্টার মাসুদ রানা আপনি তো ভাইরাল হয়ে গেছেন’ এইটুকু বলেছেন।’
আইনজীবী মাসুদ রানা ২০১০ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ২০১২ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তার স্ত্রীও ঢাকা জজ কোর্টের একজন আইনজীবী।
সূত্র-জাগো নিউজ