আপিল শুনানির আগে চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপিল শুনানির আগে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, এ কথাটি কিন্তু সঠিক না। তাদের আপিল শুনানি হয়েছে। জেল আপিল ছিল, জেল আপিল শুনানি হয়েছে। জেল আপিল শুনানির পর তাদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার যে অধিকার সেটাও দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারিক আদালতে এবং হাইকোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফার্ম করা হয়েছিল। জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। তারপরে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান। সেই আবেদন নাকচ করার পরে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।’
জেল আপিল শুনানির সময় কোনও আইনজীবী থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আপিলকারীদের আবেদন বিচারপতিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিচারপতিরা শুনানি করে নিষ্পত্তি করেন।’
মামলার প্রক্রিয়ায় কোনও ভুল হয়নি উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘যে বিভ্রান্তি ঘটেছে সেটি হয়তো কোনও একসময় একটা আপিল কেউ দাখিল করেছিল। আমি আমার ওকালতি জীবনে যেটা দেখেছি সেটা হচ্ছে, এই রকম আপিল দাখিল করা হলে জেল আপলিও যদি থাকে তাহলেও দুটো একসঙ্গে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আমি জানি না তাদের আপিল কবে দাখিল করা হয়েছিল এবং জেল আপিলটা একসঙ্গে কেন করা হলো না।’
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগেই তাদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে বুধবার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিল করেছিলেন দণ্ডিত ওই দুই ব্যক্তি।