রাজধানীর বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচারকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা।
ঘোষিত রায়ে ‘৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়’ এমন পর্যবেক্ষণের জেরে ইতোমধ্যে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে আজ রোববার (১৪ নভেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সেই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
তবে অনেক আইনজীবী আবার বলছেন এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। যুক্তি হিসেবে তারা উল্লেখ করছেন অধস্তন আদালতের রায়ই শেষ কথা নয়। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চতর আদালতে এ বিষয়ে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
এমনই একজন হলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যকরী সদস্য কুমার দেবুল দে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজস্ব অ্যাকাউন্টে দেয়া তাঁর এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম -এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-
একজন বিচারক প্রদেয় রায়ের বিরুদ্ধে আপীল/ রিভিশন বা বিচারিক প্রক্রিয়া ভিন্ন অন্য যেকোন প্রকার অবিচারিক বা বিচারবহির্ভূত কোন পন্থা বা প্রচেষ্টা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞাসূলভ।
বিচারিক রায়ের বাঞ্চিত বা অবাঞ্চিত যেকোন বিষয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ায় উচ্চতর আদালতের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ আছে। তাই বিচারিক রায়ের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত যেকোন হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গঠনমূলক যেকোনো সমালোচনা হতে পারে মোটেও তা একজন বিচারককে প্রকাশ্যে খাটো করে নয়, আদালত যদি রায় প্রদানে কোন মন্তব্য করাতে স্বাধীন না হয় তা ভবিষ্যতে অন্যান্য বিচারকদের রায়েও প্রভাব পড়তে পারে যা ন্যায় বিচারের পথে অন্তরায় হতে পারে। এর মাধ্যমে আমরা নিম্ন আদালতের বিচারকদের হাত পা বেঁধে দিচ্ছি নাতো?