জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলা আছে কি না তা খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত একজন জেলা জজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে বলেছেন। কমিটির মধ্যে- একজন জেলা জজ, একজন চিকিৎসক, সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয় এমন এবং একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে (ডিএজি) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই তিনজনকে বিষয়টি অনুসন্ধান করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায় কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
ওই শিক্ষকের পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান ইউজারসিফ মাহমুদ বর্ণভের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এসব আদেশ দিয়েছেন। রিটে শিশু বর্ণভের ‘লিটিগেশন ফ্রেন্ড’ হচ্ছেন তার মামা গোলাম হাফিজ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মনজুর নাহিদ ও আরেফা পারভীন তাপসী।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি মো. সরোয়ার পায়েল।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মনজুর নাহিদ জানান, রিটে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কয়ার হাসপাতালের কাছে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাঈদা নাসরিন বাবলীর স্বামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেছিলেন, ২০ জুন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাবলী।
জানা যায়, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। ৫ জুলাই আইসিইউতে ব্রেন স্ট্রোক করলে অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। এরপর ৭ জুলাই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাবলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বাবলী ৩২তম বিসিএসে এডুকেশন ক্যাডারেও প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।