হাইকোর্ট

ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ড স্থগিত: ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

রাজধানীর কদমতলীতে এক দোকানের চার কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে ভুক্তভোগী কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলে জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

রিট আবেদনে দাবী করা হয়, সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই চার কর্মচারীদের সাজা দিয়েছে। তারা দুই মাস জেলে থাকায় তাদের পরিবার খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটিয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে রিটে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

মামলার তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, ওই দোকানের কোটি টাকার মালামাল নিয়ে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় জব্দ তালিকা ছাড়াই মালপত্র নেওয়ার ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এরপর সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে ম্যাজিস্ট্রেট দোকানের কর্মচারীদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। দুই মাস জেলে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ভুক্তভোগী কর্মচারীরা।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজিসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়।