সরকারি কিংবা বেসরকারি সব দপ্তরে কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকলেও অধিকাংশ অফিসেই কাজ শেষের পরেও কাজ থেকেই যায়। অনেক সময়ই অফিসের নির্দিষ্ট সময়ের কাজের পরও অফিসের ‘বস’রা ফোন বা মেইল করে কাজের জন্য চাপ দেন। তবে সেই অতিরিক্ত চাপ থেকে কর্মীদের মুক্তি দিতে নতুন আইন করেছে পর্তুগাল সরকার।
গত শুক্রবার এই আইন পাশ হয়েছে পর্তুগাল পার্লামেন্টে। কার্যকর হয়েছে তার পর দিন থেকেই। নতুন এ আইনে বলা হয়েছে, অফিসের নির্দিষ্ট সময়ের কাজ শেষে কোনো কর্মীকে ফোন, মেসেজ বা মেইল করতে পারবেন না তার বস।
মূলত কাজের বাইরে কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে, পরিবারকে সময় দিতেই এই ধরনের আইনে সম্মতি দিয়েছে পর্তুগাল সরকার।
আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ‘বস’ যদি কর্মীর নির্ধারিত সময়ের কাজ শেষে তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করেন, তা হলে সেটা গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হবে এবং প্রয়োজনে জরিমানা করা হতে পারে।
নতুন আইনে অনুযায়ী, কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন এবং গোপনীয়তাকে সম্মান জানাতে হবে মালিক বা ‘বস’কে। তাই কাজ শেষে ইচ্ছে হলেই কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না তারা।
এ ছাড়াও কোনো কর্মী যদি মনে করেন তিনি যেকোনো জায়গা থেকে অফিসের কাজ করবেন, তা হলে তাকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব বর্তাবে মালিক বা ‘বস’-এর ওপর।
শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে গিয়ে যদি অতিরিক্ত খরচ হয়, তাহলে সেই অতিরিক্ত খরচও বহন করতে হবে মালিককে। কানাডাতেও একই আইন প্রযোজ্য আছে।