মনজিলা সুলতানা ঝুমা: দেশে পাবলিক বাসে যাতায়াত অথচ যৌন হয়রানির শিকার হয়নি এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। দেশের মহাসড়ক, ফুটপাত কিংবা জনসমাগম হয় এমন জায়গায় দৈনন্দিন প্রয়োজনে চলা ফেরার সময় ঠিক কতজন যৌন হেনস্তা শিকার হন তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান জানা যায় না। গণপরিবহন, জনসমাবেশ, রাস্তা-ঘাট, জন সাধারণের সামনে নারী কেবল উত্ত্যক্তের শিকারই হন না, বরং তারা নিগৃহীত, যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের শিকার হন। অর্থাৎ, উত্ত্যক্তের আড়ালে থাকে যৌন প্রবৃত্তির মোড়ক। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি এক ধরনের ইউফেমিজম (Euphemism)। বখাটেদের যৌন হয়রানির আড়ালে লুকিয়ে থাকা যৌন লালসার ব্যাধি সামাজিক দৃষ্টিতে কিংবা জন সাধারণের চোখে খুব স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে না। একজন ভুক্তভোগীই বোঝেন এর অন্তর্নিহিত গোপন যাতনা। এ ধরনের উত্ত্যক্ত নারীর স্বাধীন ও নিরাপদে পথ চলার মৌলিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত হানে। যা সংবিধান লঙ্ঘন। গণপরিবহন বা যানবাহনে চলা ফেরার সময় প্রায়ই শোনা যায় এ ধরণের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার খবর।
গণপরিবহনে যৌন হয়রানি বা হেনস্থা
যেহেতু পরিবহনে বিভিন্ন ধরনের লোকের সমাগম হয় তাই যে কোন স্পর্শকেই যৌন হয়রানি বা হেনস্তা বলা যাবে না। শারীরিক যৌন হয়রানির মধ্যে রয়েছে ইচ্ছাকৃত বারবার স্পর্শ করা বা চিমটি কাটা, কাছ ঘেঁষে দাঁড়ানো বা আস্তে ধাক্কা দেয়া, নারীদের চুল স্পর্শ করা বা কাঁধে হাত রাখা। সংবেদনশীল স্থানে স্পর্শ করা, গায়ের সাথে ঘষাঘষি করা, চোখ টিপ মারা, জিহ্বা বের করে বাজে ইঙ্গিত দেয়া, কাপড় ছিড়ে দেয়া ইত্যাদি। বাসের সিটে চুইংগাম লাগিয়ে ইচ্ছাকৃত হেনস্তা করা।
গণপরিবহনে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির খবর আমরা প্রায়ই শুনি, এবং তা অভস্ত্যতায় পরিণত হয়ে গেছে৷ কখনো কখনো এসব ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদও হয়৷ কিন্তু এর মাত্রাটি কোন পর্যায়ে তা হয়তো আমরা বুঝতে পারিনা৷ অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক এর সম্প্রতি দু’টি গবেষণায় এর ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে৷ এর মাঝে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর গবেষণার শিরোনাম ‘সেফ সিটিজ ফর উইমেন’৷ এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শতকরা ৮৮ জন নারী রাস্তায় চলার পথে যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্যের মুখোমুখি হন৷ এদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ গণপরিবহণের চালক ও হেলপারদের দ্বারা হয়রানিমূলক মন্তব্যের শিকার হন৷
নারীর ওপর শারীরিক যৌন হয়রানির বিষয়ের বাইরে এই যে মানসিক যৌন হয়রানি, তা তেমন আমলে নেয়া হচ্ছেনা৷ কিন্তু এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে৷ এর শিকার নারীরাও ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না যে, তারা কোথায় কীভাবে এর প্রতিকার পাবেন৷
গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হলে সেই মুহুর্তে নারীর আসলে কী করা উচিত?
বাসে যৌন হয়রানির শিকার হলে তারা কি করেন এমন প্রশ্নের একটি অনলাইন সার্ভেতে জানা যায়, বাসে যৌন হয়রানির শিকার হলে ৮১% চুপ করে থাকেন অথবা নিরবে তা সহ্য করেন এবং ৭৯ শতাংশ বলেছেন তারা আক্রান্ত হওয়ার স্থান থেকে সরে যান। অথবা না দেখার বা বুঝার ভান করে থাকেন। মনস্তাত্ত্বিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটা এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণা দেয়। যারা এই ধরনের যৌন হয়রানির উত্তর প্রদান করতে পারেন না বা প্রতিবাদ করতে পারেন না তারা এক ধরনের হীনমন্যতায় ভুগেন। নারী নিপীড়িত-নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম বা আইনে প্রাধান্য পেলেও গণপরিবহনে নারীর সাথে ঘটে যাওয়া এই ধরনের যৌন নির্যাতন খুব কমই গুরুত্ব পাচ্ছে। এই ধরনের সমস্যায় সবার পাশের যাত্রী এবং গাড়ির অন্যান্য যাত্রী এবং অন্যান্য যাত্রীদের সাহায্য চাইতে হবে।
গণপরিবহন বা বাসে যৌন নির্যাতনের শিকার হলে কোথায়, কীভাবে অভিযোগ করবেন
বাসে বা গণপরিবহনে কেউ যৌন নির্যাতনের শিকার হলে নিম্নে বর্ণিত উপায়ে অভিযোগ করতে পারবে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯
৯৯৯ জরুরি সেবা বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে পরিচালিত একটি জরুরি কল সেন্টার। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে এ সেবা। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন ব্যক্তি ৯৯৯ -এ কল করার মাধ্যমে এ সকল জরুরি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। চলন্ত গাড়িতে যে কোন ধরনের যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হলে সেই মুহুর্তেই ৯৯৯ এ কল করে অভিযোগ করতে পারবে। এটি খুব ফলপ্রসূ।
সর্বস্তরের নাগরিকদের জরুরি সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশ এই কল সেন্টার সেবাটি চালু করে। এটি টোল ফি। ৯৯৯ নম্বরে কল করলে কোন কল চার্জ কাটা হয় না অর্থাৎ মোবাইলে টাকা না থাকলেও ৯৯৯ নম্বরে কল করা যায়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টার ১০৯
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে সহায়তা প্রদান করা হয় টোল ফ্রি হেল্পলাইন ১০৯ থেকে। কেউ গণপরিবহন অথবা বাসে যাতায়াত কালে নির্যাতনের শিকার হলে এখানে জানাতে পারেন।
মেয়েদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ ‘বাঁচাও’
‘বাঁচাও’ অ্যাপ মূলত স্মার্ট ফোনের একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে একজন নারী তার বিপদের সময় ‘বাঁচাও’ অ্যাপস ব্যবহারকারী সকলের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এক ক্লিকেই সাহায্য চাওয়া নারীর কাছাকাছি পরিবার, বন্ধু, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের কাছে চলে যাবে বার্তা। জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাহয্য চাওয়া নারীর অবস্থান নির্দেশ করবে। এক্ষেত্রে তার নম্বর গোপন রেখে টেক্সট বা অডিও কলেও করা যাবে যোগাযোগ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত
আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি অবগত করা যেতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত যদি হাতেনাতে প্রমাণ পান, তাহলে ঘটনাস্থলেই শাস্তি আরোপ করতে পারবেন।
প্রচলিত আইনে গণপরিবহনে বা বাসে ইভ টিজিং বা যৌন হয়রানির শাস্তি
বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনে ইভ টিজিং বা যৌন হয়রানির শাস্তির বিধান আছে। এক নজরে এই জঘন্য অপরাধের বিভিন্ন শাস্তি সম্পর্কে সামগ্রিক একটা চিত্র দেখে নেয়া যাক। দন্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় ইভটিজিং সম্পর্কে বলা হয়েছে-
এই ধারা অনুযায়ী যদি কেউ অপরাধ করে এবং তা প্রমাণিত হয় তবে সেই ব্যক্তি এক (১) বৎসর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দন্ডেই দণ্ডিত হতে পারেন। এবং এই আইনের ২৯৪ ধারা অনুযায়ী যদি কেউ এই অপরাধ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি তিন (৩) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
তাছাড়া একই আইনের ৩৫৪ ধারায় বলা হয়েছে-
যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করার অভিপ্রায়ে বা শালীনতা নষ্ট হতে পারে জেনেও তাকে আক্রমণ করে বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে তাহলে সে ব্যক্তি ২ বৎসর পর্যন্ত যে কোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে বা জরিমানাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ৭৫ ও ৭৬ ধারায় ইভটিজিং বা উত্যক্তার বিষয়ে বলা হয়েছে-
৭৫ ধারা অনুযায়ী সমাজে অশালীন বা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শাস্তি হিসেবে ৩ মাস মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। একই অধ্যাদেশের ৭৬ ধারা অনুযায়ী শাস্তি ১ বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ডে অথবা ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ১০ ধারা অনুযায়ী,
যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তা হলে তার এই কাজ হবে যৌন পীড়ন এবং এর জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ (১০) বছর কিন্তু অন্যুন তিন (৩) বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন৷
ফিরে দেখা কিছু ঘটনা
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার সাময়িকভাবে স্বস্তি হয় ঠিকই, কিন্তু উদ্বেগ থেকে যায়। কেননা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত অনেক সময় সাপেক্ষ। অন্যদিকে সাজা দেওয়া হলেই যে গণপরিবহনে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না, তা-ও হলফ করে বলা যাচ্ছে না। সব থেকে আলোচিত কিছু ঘটনা যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে সকলের জানা।
ঘটনা ১
চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী একটি নাইট কোচে তরুণীকে পর্ন ভিডিও দেখানো এবং উত্যক্ত করায় এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঘটনা ২
২০১৯ সালের ১০ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম মহানগরে চলন্ত বাসে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। তবে সেই নারীর চিৎকারে শুনে পেছনে থাকা গরুবোঝাই একটি ট্রাকের চালক বাসটির গতিরোধ করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন বাসের চালক ও তার সহকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনা ৩
আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ শেষে জামালপুরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় যান এক পোশাককর্মী। সেখানে এক পিকআপ ভ্যানের চালক নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ওই পোশাককর্মীকে তুলে নেন। পরে চালক ও হেলপার মিলে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে যায় রাস্তায়।
ঘটনা ৪
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসেই লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাসে বাংলাদেশ লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন পরিবহনশ্রমিকেরা। একই বছর মার্চ মাসে নিউ ভিশন নামে একটি বাসে দুই নারীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করা হয়। একই মাসে এক কলেজছাত্রী একটি ফাঁকা বাসে উঠলে একই রকম ঘটনার শিকার হন। শুধু যে বাসে নারীদের হয়রানি করা হচ্ছে তা নয়, মার্কেটে, পথেঘাটে, কর্মস্থলে নারীরা যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।
ঘটনা ৫
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাবার পথে জাকিয়া সুলতানা রূপা নামে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে গাড়ির চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজর। ঘটনার পরে রূপার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইলে দাফন করা হয়। রূপা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৮ সালে বাসের চালক এবং সহকারীসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
পরিশেষে, গণপরিবহনে বা বাসে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের এবং সাধারণ যাত্রীদের কী করণীয় কী করণীয় নয় এই ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুমে যৌন হয়রানি সম্পর্কে আলোচনা এবং নেতিবাচক বিষয় তুলে ধরতে হবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে নারীরা সাহস করে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন। এটা একটা আশার দিক। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নারীদের নিরাপত্তাকে কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সংশ্লিষ্টদের সেটা বের করতে হবে। এক্ষেত্রে নারীবান্ধব যানবাহন, চালক ও সহকারী নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া পরিবর্তন আনতে হবে যাত্রীদের মানসিকতায়ও। নারী নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি নারী গাড়িচালক প্রশিক্ষিত করার ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখানে প্রতিটি নারীর পথচলা হবে সুন্দর।
লেখক: আইনজীবী; জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও খাগড়াছড়ি।