গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা স্থানান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ওই চারজনকে আসামি করে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন- নাসির উদ্দিন আহমেদ, তপনকান্তী পোদ্দার, মো. নাজিম উদ্দিন এবং মো. হানিফ। একইসঙ্গে এ চারজনকে আসামি না করা দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে তদন্ত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। রিভিশন আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম নুরুল আলম। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
এবি ব্যাংক নোয়াখালীর চৌমুহনী শাখায় গ্রাহক মো. আবদুল মমিনের লোনের জন্য জমা দেওয়া ৩ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা অ্যাকাউন্ট বেআইনিভাবে স্থানান্তর করে আত্মসাত করেন ওই চার ব্যাংক কর্মকর্তা। মো. মশিউর রহমান দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে এ ঘটনায় প্রমাণ পাওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এই বিষয়ে গ্রাহক আবদুল মমিন নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতে মামলা করতে গেলেও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা লিখিত আপত্তি দাখিল করেন। এই কারণে গ্রাহক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে তলব করেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী মশিউর রহমান হাইকোর্টে হাজির হন।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এবি ব্যাংক শাখার সাবেক ম্যানেজ নাসিরউদ্দিনসহ ৪ জনকে দুর্নীতি মামলায় আসামি করে মামলা করতে দুদককে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে ভবিষ্যতে সতর্ক করে এ মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।