সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে জামালপুর-৪ আসনের এমপি মুরাদ হাসানে কর্মকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর রাতেই সে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও ও অডিও ক্লিপ ছড়ানোর জেরে জামালপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে পদ হারান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদের করা নারীবিদ্বেষী মন্তব্য ঘিরে কদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছিল। এরইমধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর রাতে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি কল রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
যেখানে নায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একইসঙ্গে তাকে আপত্তিকর প্রস্তাব ও হত্যার হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি মুরাদের শাস্তিরও দাবি উঠে।