চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণাকালে আনোয়ার হোসেন বখতিয়ার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ঘুষদাতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১০ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে তিনি লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। চাকরি পাওয়ার আশায় তিনি মামাতো ভাই রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে পি এ টু পরিচালক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ওমর আলীকে বিষয়টি নিয়ে আসামি আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারেরর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন বখতিয়ার জানান, সাত লাখ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। তার কথা মোতাবেক জাহাঙ্গীর ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বখতিয়ারকে দুই দফায় সাত লাখ টাকা দেন।
তবে টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে জাহাঙ্গীরের মামাতো ভাই আনোয়ারকে টাকা ফেরৎ দিতে বলেন। আনোয়ার টাকা দিতে তালবাহানা করতে থাকেন। এরপর এক লাখ টাকা ব্যাংক হিসেবে দিয়ে বাকি ছয় লাখ টাকা নগদ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন নাজিম উদ্দিন।