বিয়ের ঠিক এক বছর নয় মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। বর হারুন অর রশীদ অপুকে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ডিভোর্স দেন তিনি। যদিও সেই সময় ফারিয়া জানিয়েছিলেন, দু’জনের সম্মতিতেই এই বিচ্ছেদ হয়েছে।
তবে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য শবনম ফারিয়া সামনে আনলেন। সেখানে স্পষ্ট স্বামীর নির্যাতনের কারণেই সংসার ত্যাগ করতে বাঁধ্য হয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। শুধু নির্যাতনই নয়, হাতও ভেঙে দিয়েছিলেন তার স্বামী।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলমার নির্যাতনের কারণে মৃত্যুর পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই ফারিয়া কণ্ঠশিল্পী লোপার একটি পোস্ট শেয়ার করে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করেন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে শবনম ফারিয়া লেখেন,
মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পিছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে কীভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি, যখন কেউ জানতে চেয়েছি কি হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যথা পেয়েছি!
ফারিয়া লেখেন,
কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সঙ্গেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কি বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কিভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এত আয়োজনের প্ল্যান করছে তাদের কি জবাব দেব! কাবিনের তিন মাস না যেতেই এতো কিছু! নিশ্চই সমস্যা আমারই! আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি!
তিনি আরও লেখেন,
বার বার ভেবেছি কিছু হলে সবাই আমাকেই খারাপ বলবে! কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে মানুষ কি বলে তার চেয়ে নিজের ভালো থাকা আরও অনেক জরুরি! জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরি!
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। এরপর বন্ধুত্ব এবং প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল হয়েছিল তাদের। আর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জাঁকালো আয়োজন করে বিয়ে করেছিলেন তারা।