কন্যা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদে পিতৃপরিচয় বদলের অভিযোগে এক দম্পতিকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
সাবেক স্বামীর সন্তান হওয়া সত্ত্বেও পরকীয়া প্রেমিক থেকে স্বামী হওয়া ব্যক্তির নাম পিতৃপরিচয়ে উল্লেখ করে সন্তানের নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ নেওয়ায় তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- আরশাদ হোসেন ও অনামিকা ওমর। অনামিকা ওমর চকবাজারের ৭৯/ক হোসনী দালানের ওমর ফারুকের মেয়ে। আরশাদ হোসেন একই থানার ১০/২ বকশিবাজার লেনের মৃত গোলাম আহম্মদের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা অর্থদণ্ডের ১০ হাজার টাকা আদালতে জমা দেন।
মামলার প্রেক্ষাপট
২০০৮ সালের ৩ জানুয়ারি এ মামলার বাদী মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে অনামিকা ওমর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে বৈধ বিবাহ বলবত থাকা অবস্থায় আরশাদ হোসেনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন অনামিকা ওমর। পরবর্তীতে তিনি মাকসুদুর রহমানকে তালাক দিয়ে আরশাদ হোসেনকে বিয়ে করেন। তখন ওই কন্যার নাম, জন্ম তারিখ ও পিতার নাম পরিবর্তন করে তারা (অনামিকা ও আরশাদ) নতুন জন্ম নিবন্ধন করেন।
এ প্রেক্ষিতে কন্যা সন্তানের জন্ম নিববন্ধন সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৭ সালে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মাকসুদুর রহমান। আদালত মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছর চকবাজার মডেল থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন দুজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই মামলায় সাবেক স্ত্রী অনামিকা ওমর এবং তার দ্বিতীয় স্বামী আরশাদ হোসেনকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।