নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনা এখনো আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা এখনো আসেনি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তারপরই (নির্দেশনা) আসাটা আমার মনে হয় সঠিক হবে।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের। সে অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ ডিসেম্বর তাঁর শেষ কর্ম দিবস।
দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) পদত্যাগ করার ৮৫ দিনের মাথায় ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরের দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদকাল শেষ হওয়ার আগে থেকেই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি কে হচ্ছেন, এ নিয়ে চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের জল্পনা-কল্পনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ।
প্রধান বিচারপতি অবসরে গেলে আপিল বিভাগে আর চারজন বিচারপতি থাকবেন। জ্যেষ্ঠতা অনুসারে তারা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এই চারজনের একজনকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অতীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করার প্রথা যেমন রয়েছে তেমনি তাকে ডিঙিয়ে অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠ বিচারপতিকেও নিয়োগ দেওয়ার নজির রয়েছে। যদিও সংবিধানে এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। রাষ্ট্রপতি যাকে চাইবেন, তাকেই তিনি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ হলে দেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি যে মোহাম্মদ ইমান আলী হচ্ছেন এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই। কিন্তু সুপারসিড হলে নিয়োগের আলোচনায় যার নাম সর্বাগ্রে তিনি হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।