সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি

বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করাতে পারবেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত করোনা টেস্ট বুথের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এখান থেকে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করাতে পারবেন।

আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ট্রেজারার ড. ইকবাল করিম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনা টেস্টের জন্য প্রতি কার্যদিবসে সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে উপস্থিত হয়ে নমুনা দিতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের প্রবেশদ্বারে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে কোর্ট প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগে কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে আপিল বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু করার সময় প্রধান বিচারপতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারো ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, চারিদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবার ভার্চুয়ালি আদালত পরিচালনায় যেতে হবে

হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকজন এবং অধস্তন আদালতেও কিছু বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক স্টাফও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা হয়তো আবার ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাবো। ভার্চুয়াল কোর্টে যে মামলা নিষ্পত্তি কম হয়, তা নয়। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি ভাবছি।’

এরপর আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে পৃথক স্মারক জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এছাড়া গত ১৬ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। সপ্তাহে চার দিন শুধু তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে গত ১০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।