খুলনা ওয়াসার এমডির দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্ট; রিট (প্রতীকী ছবি)

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্ত চেয়ে রিট

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ‘গার্ড অব অনার’ ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রানা সিকদারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

রিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, রিট আবেদনে আইন অমান্য করে রাষ্ট্রীয় প্রাপ্য সম্মান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব শিকদারকে বঞ্চিত করা কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারের কবরস্থানে দ্রুত ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলেও জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী।

রিটকারী রানা সিকদার ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা রাষ্ট্রের কাছে প্রাপ্য সম্মান পায়নি। প্রশাসনের কথামত জানাজার সময় পিছিয়েছি। কিন্তু এরপরও উনারা জানাজায় অংশগ্রহণ করেননি এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার বাবার প্রতি প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি। বিষয়টি উপস্থিত জনতার কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে, যাতে আমি লজ্জিত।

তিনি আরও বলেন, এজন্য আমি আদালতে এসেছি। যাতে করে আর কোন মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত না হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বজনরাও যেন লজ্জায় না পড়েন।

জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদার মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া যায়নি। পরে ২৯ জানুয়ারি বিকালে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তবে তার জানাজায় গার্ড অব অনার না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে।