হত্যা মামলায় এজাহার পরিবর্তন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুঠিয়া থানার সাবেক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। সেই সাথে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোম্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিলেও চার মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত করে শেষ করতে বলেছেন আদালত।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, সাবেক এই ওসি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। যেই রুল মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধমূলক অসদাচরণে লিপ্ত হন সাকিল উদ্দিন। ২০১৯ সালের ১১ জুনের পুঠিয়া থানার ৮ নম্বর মামলায় ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও আসামিদেরকে বাঁচাবর উদ্দেশ্যে কারসাজি মূলকভাবে মামলার এজাহার পরিবর্তন করেন। এছাড়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামির নাম ও ঠিকানা সম্বলিত কলামে ‘অজ্ঞাতনামা’ লিখে মামলা রুজু করেন।
এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি দুদকের সহকারি পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে রাজশাহীর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে গত ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সাকিল আহমেদ। একইসঙ্গে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।