নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। আগামী শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত আবেদন দেওয়া যাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ২০০ ব্যক্তির আবেদন জমা পড়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা।
এদিকে আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশিষ্ট ৬০ নাগরিককে চিঠি দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, আইনজীবীসহ নানা পেশার মানুষ। এ ছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকেও আজ চিঠি দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, আগামী শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনটি ভাগে ২০ জন করে বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি। তাঁদের কাছ থেকেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারের নাম চাওয়া হবে। এ ছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও নাম নেবে কমিটি।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ই-মেইলে দেশ-বিদেশ থেকে আসা ও হাতে হাতে আসা ব্যক্তি পর্যায়ের আবেদন, রাজনৈতিক দলের সুপারিশ ও বিশিষ্টজনদের সুপারিশ করা ব্যক্তিদের নাম কমিটির সামনে উপস্থাপন করবে। আর সেখান থেকেই নির্বাচিত করা হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। শুক্রবারেও চাইলে যে কেউ আবেদন জমা দিতে পারবেন। এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তর খোলা থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার খোলা মনে এবারের নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চাচ্ছে। এ কারণে দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্যদের দিয়ে কমিশন গঠন করতে চাচ্ছে সরকার। অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই অংশগ্রহণমলূক একটি কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।