ভুয়া নিয়োগপত্র: রিট করে ফাঁসলেন ৩৪ আবেদনকারী
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

দেশের নাগরিক সুরক্ষিত থাকুক, এটাই কাম্য: হাইকোর্ট

মডেল মুশফিকা তিনার বাবা ও চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খান (৫৮) ফেসবুক লাইভে এসে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় অনলাইন মাধ্যম থেকে ভিডিও লিংক পেলেই অপসারণ অব্যাহত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসময় আদালত বলেছেন, বিষয়টি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ যদি এ সংক্রান্ত কোনো ভিডিও লিংক বিটিআরসিকে দেন, তা যেন সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করা হয়।

আদালত আরও বলেছেন, এমন ভিডিও থেকে কেউ উৎসাহ পাক—এটা আমরা কোনোভবেই চাই না। দেশের নাগরিক সুরক্ষিত থাকুক—এটাই আমাদের চাওয়া, আমাদের কাম্য। সব কিছুরই ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক আছে। আমরা চাই ইতিবাচক দিকগুলোই সবার মধ্যেই থাকুক।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি করে আগামী ১ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এদিন আদালে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে বিটিআরসি জানায়, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও লাইকিতে মোট ২২৭টি লিংক চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুক থেকে ১৯০টি, ইউটিউব থেকে ৬টি, লাইকি থেকে ৩টি এবং টিকটক থেকে ৩টি লিংক অপসারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়িতে আবু মহসিন নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তার আত্মহত্যার সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ ভিডিওগুলো অপসারণে নির্দেশনা চান।

পরে আদালত আদেশ পাওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে সকল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এছাড়া এই ভিডিও যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে বিটিআরসিকে এ বিষয়ে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ আদেশ অনুসারে বিটিআরসি প্রতিবেদন দেন।