শ্রেণিবহির্ভূত অবৈধ ভূমি ব্যবহারের তথ্য ও ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি বন্ধে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। সমঝোতা স্মারকে জমির মালিক ও বিদ্যুৎ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ব্যাপারটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) প্রদীপ কুমার দাস এবং ডিপিডিসি’র কোম্পানি সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৫ কোটি ১২ লক্ষ খতিয়ান/পর্চা অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনা ঠিকানার তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় জানতে পারবে সংশ্লিষ্ট ভূমিটি প্রকৃত অর্থে কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভূমির শ্রেণি ও এর প্রকৃত ব্যবহার যাচাই করে শ্রেণিবহির্ভূত অবৈধ ভূমি ব্যবহারের তথ্য ও ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি উদ্ঘাটন করা সহজ হবে। এতে সরকারের প্রকৃত ভূমি রাজস্ব আহরণ অনেকাংশে বাড়বে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির দেখানো জমির দলিল বা দাখিল করা জমির দলিলের অনুলিপির সঠিকতা যাচাই করার মাধ্যমে ডিপিডিসি ভূমির প্রকৃত মালিকের তথ্যও যাচাই করতে পারবে।