জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন ভরসাকে হাজির করাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে এক ছেলের জিম্মায় থাকার বিরুদ্ধে অন্য ৯ সন্তানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে ছেলে মো. সাইফুল উদ্দিন ভরসার (শিমুলের) হেফাজতে বন্দি করিম উদ্দিন ভরসাকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে আটকে রাখা হয়নি তা নিশ্চিত করতে আদালতের সামনে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে করিম উদ্দিন ভরসাকে বাকি নয় সন্তানের (আবেদনকারী) যৌথ নিরাপদ হেফাজতে দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার, রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে মো. সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুল, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও গুলশান থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সেই সাথে সাইফুল উদ্দিন ভরসা (শিমুলের) ৬ মার্চ তার বাবাকে আদালতে হাজির করাতে নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফরোজা ফিরোজ মিতা, কামরুন মাহমুদ, সাবরিনা জেরিন ও এম আব্দুল কাইয়ূম।
আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, অধস্তন আদালতের একটি মামলায় করিম উদ্দিন ভরসাকে তার এক ছেলে সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুলের জিম্মায় দেওয়া হয়। কিন্তু সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুল তার বাবাকে জিম্মা নিয়ে প্রায় বন্দি করে রেখেছেন। তিনি তার অন্য ভাই-বোনদের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না। এমন্তাবস্থায় করিম উদ্দিন ভরসার অন্য নয় সন্তান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তারা তার বাবাকে হাইকোর্টে হাজির করতে হেবিয়ার্স কর্পাস রিট করেন।
করিম উদ্দিন ভরসা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনে রংপুর-১ (গঙাচড়া) আসন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসন থেকে সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।