তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে এ সম্পর্কিত খসড়া প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘২০টি শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমি ভবনে স্থাপিত মডেল শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে পৃথক আইন বলবৎ থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পুরুষ অথবা নারী হিসেবে পরিচিতি নির্ধারিত না থাকায় সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে তারা নিগৃহীত হচ্ছেন, কেউ কেউ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবিকার্জনের তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তির আশ্রয় নিচ্ছেন। যার ফলে সমাজে অসাম্য ও বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট অনুশাসন আছে।’
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো প্রস্তাবনায় তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের পুরুষবাচকতা অথবা নারীবাচকতা নির্ধারণের পর চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে তাদের সম্পদের উত্তরাধিকার অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। লিঙ্গের পুরুষবাচকতা অথবা নারীবাচকতা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলে তাদের নারী ও পুরুষ উত্তরাধিকার পরিমাণ যোগ করে এর অর্ধেক সম্পত্তির উত্তরাধিকার করা যেতে পারে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে। এসব প্রস্তাবনা পরবর্তীতে সবার মতামত গ্রহণ করে সংশোধন করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এছাড়া সম্মাননীয় অতিথি ছিলেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ‘২০টি শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের পরিচালক শবনম মোস্তারীসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও আওতাভুক্ত দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।