মেডিয়েশনকে মামলাজট থেকে মুক্তির পথ উল্লেখ করে এই পদ্ধতিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।
ভোলা জেলার বিচারক ও প্যানেল মেডিয়েটরদের ৪০ ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
উচ্চ আদালতের এই বিচারক বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগে ৩০ লাখ মামলাজট লেগে আছে। এই মামলাজট থেকে মুক্তির পথ হচ্ছে মেডিয়েশন। তাই মেডিয়েশনকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিচারপ্রার্থী মানুষকে বোঝাতে হবে মেডিয়েশনের সৌন্দর্য্য। আমি বিশ্বাস করি এক সময় মানুষ বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তি করতে স্বেচ্ছায় মেডিয়েশনের দিকে ঝুঁকবে।
বিচারপতি আশরাফুল কামাল বলেন, দেশে যে ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন আছে সেগুলো শর্ট আউট করে অর্ধেক মামলা মেডিয়েশনের মাধ্যমে অল্প সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। জেলা জজরাও তাদের আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো শর্ট আউট করে বিচারকদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পারেন।
তিনি বলেন, মেডিয়েশনের মাধ্যমে একজন বিচারক তখনই ভালো মেডিয়েটর হবেন যখন বিচারপ্রার্থী সব মানুষ তাকে ন্যায় বিচারক হিসেবে মনে করবেন। তাই প্রত্যেককে ভালো বিচারক হওয়ার পাশাপাশি যোগ্য মেডিয়েটর হতে হবে।
অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর পংকজ কুমার কুণ্ডুর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামীসহ দেশের ও আন্তর্জাতিক মেডিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।
ভোলা জেলার ১৯ জন বিচারক ও ২০ জন প্যানেল মেডিয়েটর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন।