বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ও গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনের নামে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গণফোরামেরই একাংশের দুই নেতা প্রেরিত নোটিশে কাউন্সিল আয়োজনের অনুমতি দিয়েও কমিটি গঠনের পর নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিষয় অস্বীকার করে ড. কামাল প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ বুধবার (৯ মার্চ) এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ বলেন, ‘গত ৩ ডিসেম্বর মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে গণফোরামের কাউন্সিল হয়েছে। ড. কামাল হোসেন নিজেই চিঠি দিয়ে কাউন্সিল আয়োজনে সম্মতি জানিয়েছিলেন। এরপর কাউন্সিল হয়েছে, গণফোরামের নতুন কমিটি হয়েছে। এখন আমরা দেখছি, আগামী ১২ মার্চ মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে আবার গণফোরামের সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। এ সম্মেলনে উপস্থিত হলে ড. কামালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আইনজীবী মহসিন রশিদ আরো বলেন, ড. কামাল হোসেনের অনুমতি নিয়েই আমরা সম্মেলন করেছি। পরে কাউন্সিল থেকে গণফোরামের নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়। কমিটির নেতাদের নাম উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু ড. কামাল হোসেন গত ৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
মহসিন রশিদ বলেন, ‘তিনি (ড. কামাল) আমাদের কাউন্সিল আয়োজনে সম্মতি দিয়েছেন। কাউন্সিলের পর নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। আবার নির্বাচন কমিশনে পাল্টা চিঠিও দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২০ ধারায় অপরাধ করেছেন। তাই আমরা তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।’
গত ৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে ড. কামাল পাল্টা চিঠি দেওয়ার ঘটনায় আদালতে একটি রিটও দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মহসিন রশিদ।
তিনি বলেন, আগামী ১২ মার্চ মোকাব্বির খানের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম কাউন্সিল করলে এবং সেখানে ড. কামাল হোসেন উপস্থিত হলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
এ বিষয়ে মতামত নেয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনকে পাওয়া যায়নি।