প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আইন অনুসারে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এ আবেদন করেন।

প্রেক্ষাপট

গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে বিগত ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের নিকট আবেদন করে। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ১৯ জুন প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে।

পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন। রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রায় দেন আদালত। সে সাথে রায় ও আদেশের কপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট।

এরপর গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ওই রায় ও আদেশের সত্যায়িত কপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়।

আবেদনের বিষয়ে সেদিন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্তেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে উক্ত রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোন ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

ওই নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ সাকি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।