আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একজনের ১০ এবং আরেকজনের ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন- আরমান ওরফে মনির এবং কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিফ। এরমধ্যে আরমানকে দশ এবং কবির হোসাইনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসানউল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল।
বাকি দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলমান। এই দুজনের নাম জাহিদ হাসান ও মাসুদ।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় হামলার পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও হামলাকারীকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। শুধু আসামির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনেককে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর আশুরা উপলক্ষে হোসেনি দালানের শোক মিছিলে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরের দিন পুলিশ চকবাজার থানায় মামলা করে।
তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যই সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হামলা চালায়।
হোসেনি দালানে জঙ্গি হামলার এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, হোসেনি দালানে যারা হামলা চালায়, সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এ হামলায় আরও তিনজনের নাম পাওয়া গেলেও তারা বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। ওই তিনজন হলেন হিরন ওরফে কামাল, আলবানি ওরফে হোজ্জা ও আবদুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন।