কারাদণ্ডের বদলে ৬ মাস বিনা বেতনে গান শেখানোর 'সাজা'
আদালত (প্রতীকী ছবি)

স্ত্রী সেজে নির্যাতনের মিথ্যা মামলা, বাদী ও সাক্ষী রিমান্ডে

জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে স্ত্রী সেজে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করায় বাদী ও সাক্ষীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শ্রুভ্রা চক্রবর্তী সোমবার (১৪ মার্চ) রিমান্ডের এই আদেশ দেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক দুই নারীকে একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মামলার বাদী বিউটি এবং সাক্ষী মনিকা।

সংশ্লিষ্ট আদালতে কোতয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ফেব্রুয়ারি মাসে মোসা. বিউটি বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। সে মামলায় আদালতের বিচারক রাশেদ কবির মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।

সে নির্দেশের পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। সে অনুযায়ী তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার কাছে সাক্ষী দিতে আসেন বিউটি ও সাক্ষী মনিকা। তবে বাদী জবানবন্দি দেওয়ার সময় কথা-বার্তায় বিচারকের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বাদীর প্রতি সন্দেহের সৃষ্টি হলে বিচারক তাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ভুয়া বাদী বিউটি বিচারকের কাছে স্বীকার করেন যে, ‘নালিশি মামলার আসামি মারজানুল হককে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনেন না। তিনি সিলেটের জনৈক মজিবুর রহমানের কথায় এবং অর্থের লোভে মিথ্যা মামলায় বাদী হতে তিনি সম্মত হয়েছেন। মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র দিয়েছেন। এ কাজে বিউটির জাল জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জাল নিকাহনামা মজিবুর রহমান প্রস্তুত করে দেন।

পরে অপর সাক্ষীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে থাকেন। পরে বিচারকের নির্দেশে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সেখ তানভীর রেজা মুন্না বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলা দায়ের করেন।