ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ, প্রশাসন কোর্ট যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা প্রতিটি জেলায় মনিটরিং করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) মেহেরপুরের সার্কিট হাউজে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মামলার আধিক্য হ্রাস ও দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের লক্ষ্যে ৮টি বিভাগের জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করে ৮জন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যেনো দ্রুত বিচার পায় সেজন্য প্রধান বিচারপতি কাজ করছেন। পুরাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কাজ করা হচ্ছে।
বিচার বিভাগকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে হাইকোর্টের এই বিচারক বলেন, মানুষ যেন রায়ের ভাষা সঠিকভাবে বুঝতে পারে সেজন্য বাংলায় রায় লেখার উদ্যোগ নিয়েছে বিচার বিভাগ। রেফারেন্স ও আইনগুলো ইংরেজি থেকে বাংলায় রুপান্তরিত করা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ ওয়ালিউল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক তহিদুল ইসলাম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন নাহার, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হেলালউদ্দিন, এইস.এম কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান, লিঙ্কন বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
কুষ্টিয়ার আদালত পরিদর্শন
মামলার আধিক্য হ্রাস ও মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কর্তৃক গঠিত অধস্তন আদালত মনিটরিং কমিটি কুষ্টিয়ার আদালত পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২০ মার্চ ও ২১ মার্চ কুষ্টিয়া জেলার আদালতসমূহ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি কুষ্টিয়া জেলার বিচারকদের সাথে ৫ বছর ও ১০ বছরের পুরাতন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা, পুরাতন মামলা নিষ্পত্তিতে করণীয় ও বিচারপ্রার্থীদের কার্যকর বিচারিক সেবা প্রদানে নানান দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বারের সিনিয়র আইনজীবী, প্রসিকিউশন ও সরকারি কৌঁসুলিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়ার ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার ও জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে সাক্ষী উপস্থাপন ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালত পরিদর্শনকালে হাইকোর্টের এই বিচারপতি পুরাতন মামলার তালিকা অনুযায়ী নথি পর্যালোচনা করেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। নবগঠিত মনিটরিং কমিটির এরূপ কার্যক্রম নিয়মিত চলতে থাকবে বলেও জানা গেছে।