ঘুস নিয়ে সেবা দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে বান্দরবানের লামা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া এই ঘটনায় একই অফিসের অপর দুই কর্মচারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক টুম্পা রানী সাহাকে হাওর এলাকার কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম এবং অফিস সহায়ক নবী নোয়াজকে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘুস নিয়ে সেবা দেওয়ার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেসব ভিডিও কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে প্রথমে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু কারণ দর্শানো নোটিশে তিনজনের কারও জবাব গ্রহণযোগ্য হয়নি। ফলে বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে মতামত পাঠানোর পরপরই তাদের কুলিয়ারচর থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।
কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই বদলি শাস্তিমূলক কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আদেশে এমন কিছু নেই।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। এখন সেই প্রস্তুতি চলছে। মামলা হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি পথ তৈরি হবে।
অপরদিকে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহাকে।
এদিকে, সদ্য বদলিকৃত নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, টুম্পা রানী সাহা ও নবী নোয়াজের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেনি।