অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল

জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টায় দুই আসামির জেল-জরিমানা, খালাস ৪

শিক্ষাবিদ, লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টার মামলায় দুই আসামিকে জেল-জরিমানা করেছে আদালত। পাশাপাশি এ মামলায় চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তার বন্ধু সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ফয়জুলকে ২০ হাজার টাকা এবং সোহাগকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

অন্যদিকে এই মামলা থেকে চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও ভাই মো. এনামুল হাসান।

রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।

আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মুমিনুর রহমান টিটু গণমাধ্যমকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই সময় মুহম্মদ জাফর ইকবাল মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পান। হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফয়জুল নামের একজনকে আটক করে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ফয়জুলকে প্রধান আসামি করা হয়। পাশাপাশি ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফয়জুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে আসামি করা হয়।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এই মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে ২৬ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

গত ১০ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলার ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর গত ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক শেষে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার জন্য ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।