আদালত (প্রতীকী ছবি)
আদালত (প্রতীকী ছবি)

মামলা দায়ের করতে দেরি, ওসিকে আদালতের শোকজ

নওগাঁয় আদালতের আদেশের পরও মামলা রুজু করতে দেরি করায় বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশে বিষয়টি আদালতের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননার শামিল হিসেবে গণ্য করে আগামী ২২ মে সংশ্লিষ্ট আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বুধবার (১১ মে) এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আদালতের আদেশ পাওয়ার ১২ দিন পর মামলা দায়ের করেন। সে কারণে পুলিশ আইনের ২৯ ধারার অভিযোগ আমলে নিয়ে কেন তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে না জানতে চেয়ে আগামী ২২ মে সংশ্লিষ্ট আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন আদালত।’

আদেশে আদালত বলেন, আদালতের বৈধ আদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সে কারণে পুলিশ আইনের ২৯ ধারার অভিযোগ আমলে নিয়ে কেন তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে না জানতে চেয়ে আগামী ২২ মে সংশ্লিষ্ট আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফারুকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী দরখাস্ত করেন। জখমীদের পরীক্ষা করে ওই দিনই ফৌজদারি ১৫৬(৩) ধারার বিধানমতে নালিশী দরখাস্তটি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে গণ্য করে মামলা রুজু করতে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

আদালত হতে ১১ এপ্রিল আদেশটি পাঠানো হয় নেজারত শাখায়। পরে নেজারত শাখা আদেশটি ২১ এপ্রিল পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ২৬ এপ্রিল বদলগাছী থানায় পাঠানো হয় এবং সেখানে সেলিম নামের পুলিশ সদস্য স্বাক্ষর করে আদেশের চিঠিটি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ৮ মে নালিশী দরখাস্তটি মামলা হিসেবে থানায় রুজু করেন বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে বদলগাছী থানার ইনচার্জ মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করতে দেরি করার কারণ দর্শানোর জবাব দেওয়া হবে।’