জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (১ জুন) দুপুরে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই দুদক থেকে তাকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
আসামি শেখ কামরুজ্জামান (৪৭) কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার বারখাদা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম শেখ ছলিম উদ্দিন (মৃত)। বর্তমানে মহানগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়া এলাকায় থাকেন কামরুজ্জামান।
মামলায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৪ সালের ২৬ (১), ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের মামলা-সূত্রে জানা গেছে, আরডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদের অভিযোগ হলে ২০১৭ সালে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর শেখ কামরুজ্জামানকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। একাধিকবার তাকে দুদক কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
দুদক থেকে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর সত্যতা নিরূপণে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া ও বর্তমান নিবাস রাজশাহীতে মাঠে পর্যায়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। এতে শেখ কামরুজ্জামানের আয়ের সঙ্গে অর্জিত সম্পদের ব্যাপক অসামঞ্জস্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধান শেষে তার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়।
দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক বুধবার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
জানা গেছে, শেখ কামরুজ্জামান সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে আরডিএতে যোগদান করলেও পরবর্তীতে তিনি এস্টেট অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় দোকান ও প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।