পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার পৃথক এক ঘটনায় মাহাদি হাসান নামে আরো একজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃত মাহাদি হাসানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। গতকাল বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নামে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান বলেন, ২৬ জুন সকালে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়। এদিন বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে মাওয়া যান মাহাদি হাসান। বেলা তিনটার দিকে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলেন তিনি। ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করে সেটি অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ভিডিওতে মাহাদি হাসান দাবি করেন, তিনি হাত দিয়ে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলেছেন। কিন্তু পুলিশ বলছে, পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার ক্ষেত্রে রেঞ্জ ব্যবহার করেন মাহাদি। পুলিশ সেই রেঞ্জ জব্দ করেছে। ঘটনার পর থেকে মাহাদি ও তাঁর বন্ধুদের খুঁজছিল পুলিশ। মাহাদিকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বন্ধুদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তামিরুল মিল্লাত নামে একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করেন মাহাদি। এরপর রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি। মাহাদি ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার ঘটনায় বায়েজিদ তালহা (৩১) নামের এক যুবক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাঁর নামে পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গত সোমবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে বায়েজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিআইডি।